ইফতার: রোজাদারের জন্য মহান ইবাদত, সহীহ হাদিসের আলোকে গুরুত্ব

ইফতার: রোজাদারের জন্য মহান ইবাদত, সহীহ হাদিসের আলোকে গুরুত্ব

ইফতার: রোজাদারের জন্য মহান ইবাদত, সহীহ হাদিসের আলোকে গুরুত্ব ৬ মার্চ ২০২৫: ইসলাম ধর্মে রোজার ইবাদত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করা এক বিশেষ সুন্নাত ও সওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইফতারকে শুধু শরীরের প্রয়োজন নয়, বরং এক মহৎ ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন। সহীহ হাদিস অনুযায়ী, রোজাদারের জন্য ইফতারের মুহূর্ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময়, যখন দোয়া কবুল হয়। ইফতারের গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস ১. ইফতারে তাড়াতাড়ি করা সুন্নাত: নবী করিম (সা.) বলেছেন, "মানুষ ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যতক্ষণ তারা ইফতারে তাড়াতাড়ি করে।" (সহীহ বুখারি: ১৯৫৭, মুসলিম: ১০৯৮) অর্থাৎ, সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে দ্রুত ইফতার করা ইসলামের শিক্ষা। 2. ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়: রাসূল (সা.) বলেছেন, "তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যাত হয় না— ন্যায়বান শাসক, রোজাদার যখন ইফতার করে এবং মজলুমের (অত্যাচারিতের) দোয়া।" (তিরমিজি: ২৫২৫, ইবনে মাজাহ: ১৭৫২) তাই ইফতারের আগে ও পরে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 3. ইফতারের সুন্নত খাবার: হাদিসে বর্ণিত আছে, "রাসূল (সা.) ইফতার করতেন তাজা বা শুকনো খেজুর দিয়ে। যদি খেজুর না থাকত, তবে তিনি কিছু পানি পান করতেন।" (আবু দাউদ: ২৩৫৬, তিরমিজি: ৬৯৬) তাই ইফতারে খেজুর ও পানি গ্রহণ করা সুন্নাত। ইফতারের আদর্শ পদ্ধতি সূর্যাস্ত নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। ইফতারের সময় দোয়া পড়া: اللَّهُمَّ إِنِّي لَكَ صُمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ "হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি, তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি, তোমার উপর ভরসা করেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করলাম।" (আবু দাউদ: ২৩৫৮) সহজ ও পরিমিত খাবার গ্রহণ করা এবং অতিরিক্ত আহার এড়িয়ে চলা। ইফতার শেষে মাগরিব নামাজ আদায় করা। উপসংহার ইফতার কেবল খাবারের সময় নয়, বরং এটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত। রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের জন্য যে সুন্নত রেখে গেছেন, তা অনুসরণ করলে ইফতার আরও বরকতময় ও পূণ্যময় হবে। মুসলমানরা যেন ইফতারের সময় দোয়া করতে ভুলে না যায় এবং সুন্নাত মোতাবেক ইফতার করে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।